১. যে ইউনিয়নে অপরাধ সংগঠিত হবে বা মামলার কারণ উদ্ভব হবে, বিবাদের পক্ষগণ সাধারণত এই ইউনিয়নের বাসিন্দা হলে, সে ইউনিয়নের গ্রাম আদালত গঠিত হবে এবঙ অনুরূপ মামলার বিচারের এখতিয়ার গ্রাম আদালতের থাকবে।
২. যে ইউনিয়নে অপরাধ সংঘটিত হবে বা মামলার কারণ উদ্ভব হবে, বিবাধারে এক পক্ষ সেই ইউনিয়নের বাসিন্দা হলে এবং অপর পক্ষ ভিন্ন ইউনিয়নের বাসিন্দা হলে, যে ইউনিয়নের মধ্যে অপরাধ সঙঘটিত হবে বা মামলার কারণ উদ্ভব হবে, সেই ইউনিয়নে গ্রাম আদালত গঠিত হবে, তবে পক্ষগণ ইচ্ছা করলে নিজ ইউনিয়ন হতে প্রতিনিধি মনোনীত করতে পারবে।
এ আইনে ভিন্নরূপ কোন বিধান না থাকলে, গ্রাম আদালত আইন ২০০৬এর তফসিলের প্রথম অঙশে বর্ণিত পৌজদারি অপরাধ সমূহের ক্ষেত্রে কোন ব্যক্তিতে কেবলমাত্র অনধিক পচিঁশ হাজার টাকা ক্ষতিপুরণ প্রদানের আদেশ প্রদান করতে পারবে। তফসিরের দ্বিতীয় অংশে বর্ণিত দেয়ানি বিষয়াবলির সাথে সম্পর্কিত কোন মামলার অনুরূপ বিষয়ে তফসিলে উল্লেখিত পরিমাণ অর্থ প্রদানেরর জন্য আদেশ প্রদান করতে ব সম্পত্তির প্রকৃত মালিককে সম্পত্তি বা এব দখল প্রত্যর্পণের জন্য আদেশ প্রদান করতে পারবে।
১. ফৌজদারি কার্যবিধি এবং দেওয়ানি কার্যবিধিতে যা কিছুই থাাকুক না কেন গ্রাম আদালত আইনের তফসিলের প্রথম অঙ্কে বর্ণিত বিষয়াবলি সম্পর্কিত ফৌজদারি মামলা এবং দ্বিতীয় অঙ্কে বর্ণিথ বিষয়াবলি সম্পর্কিত দেওয়ানি মামলাা, ভিন্ন রকম বিধান না থাকলে, গ্রাম আদালত কর্তৃক বিচারযোগ্য হবে এবং কোন ফৌজদারি বা দেওয়ানি আদালতের অনুরূপ কোন মামলা বা মোক্দবদমার বিচারের এখতিয়ার গ্রাম আদালতে থাকবে না।
২. গ্রাম আদালত কর্তৃক তফসিলের প্রথম অঙ্কে বর্ণিত কোন অপনাধের সাথে কোন মামলা বিচার্য হবে না যদি উক্ত মামলার আমলযোগ্য কোন অপরাধের দায়ে কোন ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত হয়ে ইতোপূর্বে গ্রাম আদালত কর্তৃক দন্ড প্রাপ্ত হয়ে থাকেন। যদি-
ক) উক্ত মামলায় কোন নাবালকের স্বার্থ জড়িত থাকে-
খ) বিবাদের পক্ষগনের মধ্যে সম্পাদিত কোন চুক্তিতে সালিশের বা বিরোধ নিষ্পত্তির বিধান থাকে-
গ) সরকার বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বা কর্তব্য পালনরত কোন সরকরি কর্মচারী উক্ত বিবাদের কোন পক্ষ হয়।
৩. যে স্থাবর সম্পত্তির দখল অর্পনের জন্য গ্রাম আদালত কর্তৃক আদেশ প্রদান করা হয়েছে ঐ স্থাবর সম্পত্তির স্বত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য বা এর দখল পুনরুদ্বারের জন্য কোন মোকাদ্দমা বা কার্যধরার ক্ষেত্রে (১) এর বিধানবলি প্রযোজ্য হবে না।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস