লীলা নাগ রায়
| একমাত্র মহিলা নেত্রী অগ্নিকন্যা লীলা রায় |
| পাঁচগাঁও |
| উপমহাদেশের প্রাচীন শ্রেষ্ঠ গ্রাম সিলেট বিভাগের মৌলভী বাজার জেলার রাজনগর থানার পাঁচ গাঁও। বাংলার অন্যতম সাংবাদিক,সম্পাদক গৌরিশংকর ভট্টাচার্য পাঁচ গাঁও এর সন্তান। পাঁচ গাঁও এর আরেক রত্না ও উপমহাদেশের একমাত্র মহিলা নেত্রী অগ্নিকন্যা লীলা রায় (নাগ) যিনি বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনে ১০ বৎসরের অধিককাল কারা বরণ করে ইতিহাসে অম্লান হয়ে আছেন। বৃটিশ বিরোধী সমরাস্ত্রে অন্যতম যোগান দাতা হিসেবে পাঁচ গাঁও কর্মকারগণ স্মরণীয় হয়ে আছেন। উপমহাদেশের অন্যতম কর্মকার জনার্দন কর্মকার মোঘল আমলে মুর্শিদাবাদে জাহান কোষা তোপ নির্মাণ করেন। পরবর্তিতে ঢাকায় গিয়ে কালে জমজম ও বিবি মরিয়ম নামে দুইখানা কামান প্রস্তুত করে বৃটিশদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। পাঁচ গাঁও এর লৌহ শিল্পীরা উপমহাদেশে অন্যতম জাহাজ নির্মাতা হিসেবে সিলেট বিভাগের একচেটিয়া আধিপত্য ছিল। বাংলাদেশের প্রথম মহিলা সম্পাদিত জয়শ্রী লিলা নাগ সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়। বাংলাদেশে তিনি প্রথম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম ছাত্রী হিসেবে সহশিক্ষার অধিকার প্রতিষ্ঠা করেন। সিলেট বিভাগের প্রথম দৈনিক পত্রিকা দৈনিক বলাকার সম্পাদক কালি প্রসন্ন দাস পাঁচ গাঁও এর কৃতি সন্তান। ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট গিরিশ চন্দ্রনাগ ১৮৮৫ সালে গ্রাজুয়েট প্রাপ্ত হন। উল্লেখ্য যে তিনি অগ্নি কন্যা লিলা রায় নাগের পিতা। বাংলাদেশের ¯^vaxbZv যুদ্ধে ৫৯ জন নর নারী পাঁচ গাঁও থেকে জীবন দিয়েছেন। |
সাংবাদিক
গৌরী শংকর ভট্টাচার্য্য তর্কবাগীশ
পিতা: জগন্নাথ ভট্টাচার্য্য৷
জন্ম: ১৭৯৯ সালে রাজনগর উপজেলার পাঁচগাঁও গ্রামে৷
কর্ম: সিলেট বিভাগের প্রথম সাংবাদিক৷ গুড়গুড়ে হুক্কায় আসক্তির জন্য তাঁকে গুড়গুড়ে ভট্টাচার্য্য বলে ডাকাহত৷ ১৫ বছর বয়সে গৃহত্যাগ করেন বদ্বীপেযান এবং ন্যায়শাস্ত্র অধ্যয়ন করে তর্কবাগীশ উপাধি লাভ করেন৷ জ্ঞানান্বেষণ পত্রিকার মাধ্যমে ১৮৩১ সালে সাংবাদিকতা পেশায় আসেন৷ তিনি অল বেষ্ট নিউজ পেপার ইন কোলকাতা এর সম্পাদক ছিলেন৷ তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থ সমূহ হল শিশুপাঠ নীতিকথা (১৮৩০), গীতার অনুবাদ প্রথম খন্ড (১৮৩৫), জ্ঞান প্রদীপ প্রথম খন্ড (১৮৪০) ইত্যাদি৷
মৃত্যু: ১৮৫৯ সালের ৫ ফেব্রুয়ারী৷
কারুশিল্পী
শ্রী জনার্দন
জন্ম: ১৫৭৫ সালে রাজনগর উপজেলার পাঁচগাঁও গ্রামে৷
কর্ম: উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ কর্মকার৷ ১৬৩৭ সালে মুর্শিদাবাদের নবাবের জন্য জাহান কোষ নামে একটি তোপ তৈরি করেন৷ সপ্তদশ শতকে বিবি মরিয়ম ও কালে জমজম নামে দুটি কামান ঢাকা গিয়ে তৈরি করেন৷ বর্তমানে ওসমানী উদ্যানের সামনে ঐতিহাসিক কামান কালেজমজম শোভা পাচ্ছে৷
মৃত্যু: ১৬৪৫ সালে৷
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস